এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় হারে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে আফগানিস্তানকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুধু জয় পেলেই হবে না। রানরেটের সমীকরণও মাথায় রাখতে হবে। ম্যাচের শুরুতে সমীকরণটা ছিল অনেকটাই এমন যে, প্রথমে শ্রীলঙ্কা ব্যাট করলে আফগানিস্তানকে রান তাড়া করতে হবে ৩৫ ওভারের মধ্যেই। যদি লঙ্কানরা ৩০০ রান স্পর্শ করে, সেক্ষেত্রে রশিদ-নবীদের ৩৮ ওভারের আগেই ম্যাচ জয় নিশ্চিত করতে হবে।
দাসুন শানাকার দল ৩০০ পেরোতে পারেনি, শেষ অব্দি ৫০ ওভার শেষে করেছে ৮ উইকেটে ২৯১ রান। কাজেই, আফগানিস্তানকে সুপার ফোরে যেতে হলে ৩৭.১ ওভারের মধ্যেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে হবে। ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। আফগানিস্তানের তিন বোলার মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব কাউকেই ছাড় দেননি তারা।
পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান তোলেন দুজন। এরপরই ঘটে ছন্দপতন। করুনারত্নে একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও। তার আগে ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদিরা সামারাভিক্রমাও।
উইকেটে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করেন মেন্ডিস। চারিথ আসালাঙ্কাকে সাথে নিয়ে ৯৯ বলে গড়েন ১০২ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন তিনি। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৮৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৯২ রান। আসালাঙ্কার করেন ৪৩ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান। ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা।
৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকসান মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। আর তাতেই ২৯১ রানে থামে তাদের ইনিংস। আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন গুলবাদিন নাইব। দুটি উইকেট শিকার করতে রশিদ খান খরচ করেছেন ৬৩ রান। এছাড়াও মুজিবউর রহমান নিয়েছেন একটি উইকেট।